পশ্চিম আফ্রিকার সহিংসতায় বিধ্বস্ত দেশ বুরকিনা ফাঁসোতে অস্ত্রধারীদের হামলায় অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় একটি গ্রামঞ্চলে হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। অস্ত্রধারীরা দেশটির সেনো প্রদেশের সেইতেঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর এ হামলা চালিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারীরা আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সাথে সম্পৃক্ত।

হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। বিদ্রোহীদের হামলার শিকার এই এলাকাটি সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত, যেখানে আল-কায়েদা এবং আইএসআইএল (আইএসআইএস) এর সঙ্গে সম্পৃক্ত যোদ্ধারা সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে থাকে।

অবশ্য সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে। আফ্রিকার এই দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সোমবার রয়টার্সকে বলেছেন, হামলায় অন্তত ১০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, হামলার পর মৃতের প্রাথমিক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৫ জনে।

অপরদিকে বুরকিনা ফাসোর সরকারের মুখপাত্র লিওনেল বিলগো সোমবার বলেছেন, এখন পর্যন্ত ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু নিহতের সংখ্যাটি চূড়ান্ত নয়। তিনি আরও বলেন, সৈন্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মরদেহ খুঁজছে। আর তাই মৃতের সংখ্যা আরও ‘বাড়তে পারে’।

এ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। আক্রমণকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান হামলা মোকাবিলায় রীতিমতো সংগ্রাম করছে বুরকিনা ফাসো। সশস্ত্র এসব গোষ্ঠীগুলোর বেশিরভাগই জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দা এবং আইএস’র সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়া গত এক দশকে আফ্রিকার এই দেশটিতে সহিংসতা অনেক বেড়েছে এবং জোরালো হয়েছে। আর এতে প্রতি বছর হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।

এছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুরকিনা ফাসো, নাইজার এবং মালির বিস্তৃত এলাকাজুড়ে জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পর্কিত জিহাদিদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।